কমিউনিটি ক্লিনিকে না বসে চালান ব্যক্তিগত ফার্মেসী। যখন বসেন তখন করেন স্বজন প্রীতি। ঔষধ দিতে চান টাকা। এরকম নানা অভিযোগ উঠেছে বড়বিল কমিউনিটি ক্লিনিকের এইচসিপি মো. আব্দুল বাকী সবুজের বিরুদ্ধে। মোঃ রফিকুল ইসলাম সাবুলের তথ্যচিত্রে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব।
ভু্ক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ায় অবস্থিত “বড়বিল কমিউনিটি ক্লিনিক।”
এ ক্লিনিকের এইচসিপি মো. আব্দুল বাকী সবুজ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলার পাশাপাশি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একজন ঔষধ নিতে গেলে তার কাছে টাকা দাবী করেন সবুজ। উক্ত ভুক্তভোগী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান তিনি। এক পর্যায়ে সবুজ উক্ত ব্যক্তিকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে গেলে আশপাশের লোকজন তা প্রতিহত করেন। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সবুজের শাস্তি দাবী করেন।
ভিডিও লিংক: https://web.facebook.com/100066261835018/videos/963825684691216
একাধিক গ্রামবাসী জানান, সবুজ সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে অনুপস্থিত থাকেন এবং পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ বাজারে তার ব্যক্তিগত ফার্মেসীতে সময় দেন। প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগশাযোশ থাকায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তাদেরকে উল্টো হুমকি ধামকি দেন সবুজ।
বিনামুল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারী ঔষধ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী দেওয়ার সময় টাকা নিয়ে থাকেন সবুজ। স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, চাকু দিয়ে সেবা গ্রহীতাকে মারতে উদ্যত হওয়া সহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি কমিউনিটি ক্লিনিকে। পার্শ্ববর্তী বাজারে তার সাথে দেখা হলে তিনি অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন। নিজেকে নির্দোষ দাবী করে উল্টো এলাকাবাসী ভুক্তভোগীদের উপরেই দোষ চাপান তিনি। সরকারী বরাদ্দের অপ্রতুলতার কথা বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সবুজ, এ বিষয়ে জানতে চাইলে গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসিফ ফেরদৌস জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি (চলবে)
Leave a Reply