শিক্ষার্থী ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদ।
এতে বলা হয়, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে আস্থা হারিয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা), সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ১৭ হলের প্রভোস্ট, লিগ্যাল সেল, যৌন নিপীড়ন সেল, ডরমেটরি প্রশাসক, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা তাদের বের করতে বাধ্য হবে। কোনো অবস্থাতেই পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত কারণ দেখানো চলবে না।
জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে ৬ আগস্ট প্রশাসকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এরই মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর পত্র প্রেরণের জন্য দপ্তরে জমা দিয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকেই পদত্যাগপত্র লিখে প্রস্তুত রেখেছেন বলেও জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী বলেন, আপনারা সবাই দেখেছেন সারাদেশের ছাত্র-জনতা যখন দেশের স্বাধীনতার জন্য, গণমানুষের মুক্তির জন্য তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সবকিছু বিসর্জন দিচ্ছিলেন, সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্রীয় পোষা গোণ্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল। সে জায়গা থেকে আমরা বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে প্রভোস্ট পর্যন্ত এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।