1. info@aynatv.info : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@aynatv.info : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

ইরাকে মেয়েদের বিয়ের নতুন বয়স নিয়ে যা বললেন ফাতিমা

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

বলিউডের অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। আমির খানের সঙ্গে ‘দঙ্গল’ সিনেমা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। এরপর কাজ করেছেন বেশ কিছু প্রশংসিত চরিত্রে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজনীতি ও সমাজ সচেতন। প্রায়ই নানা ইস্যুতে থাকেন সরব।

এবার তাকে কথা বলতে দেখা গেল ইরাকে মেয়েদের বয়স ৯ বছর করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক সংবাদে জানিয়েছে, ফাতিমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইরাকে মেয়েদের বিবাহের বৈধ বয়স ১৫ থেকে কমিয়ে ৯-এ আনা হয়েছে। এর অর্থ পেডোফিলিয়াকেই (পেডোফেলিয়া-শিশুদের প্রতি যৌন লালসা, যৌন নির্যাতন) বৈধ করার চেষ্টা চলছে।’

আইনত মেয়ের বয়স ৯ বছর হলেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া যাবে। ইরাকের সংসদে বিবাহ আইন সংশোধন করে এমনই প্রস্তাব আনা হয়েছে। যা নিয়ে হইচই পড়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের এই বিবাহ আইন নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী ফাতিমাও।

ইরাকের বিবাহ আইন নিয়ে প্রকাশিত খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফাতিমা ক্যাপশানে ফাতিমা লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কোনও প্রান্তে আজও এটার কোনও অর্থ হয়! ভয়াবহ’।

ইতিমধ্যেই ইরাকের পার্লামেন্টেও এই প্রস্তাবিত বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই আইনটির লক্ষ্য দেশের ব্যক্তিগত স্থিতি আইন সংশোধন করা। বর্তমানে ইরাকে বিয়ের জন্য নূন্যতম বয়স হল ১৮। তবে নারী-পুরুষ উভয়েই সম্মত থাকলে তারা ১৫ বছর বয়সেও বিয়ে করতে পারতেন।

এবার নতুন আইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- দেশের বাসিন্দারা ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করবেন নাকি সিভিল কোর্ট ম্যারেজ করবেন তা তারা বেছে নিতে পারবেন।

হিন্দুস্তান টাইমস আরও বলছে, নতুন এই আইনে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো আরও একটা বিষয় হলো মহিলাদের ডিভোর্স নেওয়ার ক্ষেত্রে বা সন্তানের কাস্টডি বা অন্যান্য বিষয়ে যে অধিকার রয়েছে সেগুলো কমিয়ে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, মূলত আবদুল-করিম কাশিমের সরকারের বিবাহ আইনের সংশোধনের দাবি তুলেছে শিয়া দলগুলো। তারাই ১৯৫৯ সালের ব্যক্তিগত আইনের ১৮৮ নম্বর আইন সংশোধনের দাবি তুলেছে।

এদিকে এই বিবাহ আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। তাদের মতে এই আইন পাশ হয়ে গেলে বাল্যবিবাহ এবং বাচ্চা মেয়েদের উপর অত্যাচার বাড়বে। তাদের শৈশব হারিয়ে যাবে। সেই কারণেই একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এই বিলের বিরোধিতা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2024