বোমা ফাটালেন দেবব্রত পাল। বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থেকে পদত্যাগ করা সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল আজ রোববার বিকেলে দাবি করেছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানির অর্থ পাননি ক্রিকেটাররা।
দেবব্রত পাল জানান, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের টাকা আইসিসির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫০ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা। এটা খেলোয়াড়দের মধ্যে বণ্টন হয়, সেই টাকা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই বিশ্বকাপও কিন্তু ১৪ দিন চলে গেছে। কেউ একটি টাকাও পায়নি।’ সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেবব্রত পাল যোগ করেন, ‘আপনারা জিনিসগুলো বুঝবেন।’
এদিকে আজ রোববার দুপুরের পর গত ১৪-১৫ বছরে অবহেলিত ক্রিকেট সংগঠকদের একটা বড় অংশ শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে বর্তমান বোর্ডের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
তাদের মধ্যে সর্বশেষ বিএনপি আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) বিসিবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, মোহামেডানের ক্রিকেট কর্তা তারিকুল ইসলাম টিটু, উত্তরা কেসির পাপ্পু এবং কোয়াবের পদত্যাগী সাধরাণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বক্তব্য রাখেন। নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের নানা সমালোচনা করেন তারা। বোর্ডের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অস্বচ্ছতার অভিযোগও আনেন। সেখানেই দেবব্রত পাল বিশ্বকাপের প্রাইজমানি না দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন।
এদিকে বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের মাঝে প্রাইজমানি না দেওয়ার পেছনে বোর্ডের অস্বচ্ছতা রয়েছে, এমন অভিযোগটা মিথ্যা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়।
নিজের বক্তব্য খণ্ডন করে ওই কর্তার ব্যাখ্যা, ‘বিসিবি ক্রিকেটারদের মাঝে প্রাইজমানির অর্থ বণ্টন করবে কী করে? বিসিবি তো টাকাই পায়নি। টাকা পেলে নিশ্চয়ই ক্রিকেটারদের মাঝে তা বিতরণ করা হতো। আইসিসির দেওয়া অর্থ ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে না, এটা কি হয়? কিন্তু অর্থটাতো আগে পেতে হবে। আইসিসি থেকে প্রাইজমানির অর্থই এখনও দেওয়া হয়নি। তাই ক্রিকেটারদের হাতে টাকা পৌঁছায়নি। এখানে বিসিবির গাফিলতি, অস্বচ্ছতার কিছুই নেই।’