শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে সংঘটিত মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা এবং লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে শনিবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় ও জামালখান এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চেরাগী চত্বরকে কেন্দ্র করে পশ্চিমে বৌদ্ধমন্দির মোড়, উত্তরে জামালখান মোড় ও দক্ষিণে আন্দরকিল্লা হয়ে লালদীঘি সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল সমাগমটি। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে উপস্থিত হন।
এছাড়া বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের নেতা ও মঠমন্দিরের পুরোহিতরা তাদের ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হন। সমাবেশটিতে কোনো বক্তব্য ছিল না। সারাক্ষণ স্লোগানে মুখররিত ছিল সমাবেশটি। মা–বাবার হাত ধরে ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এতে উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন
সমাবেশে যোগ দেওয়া গোল পাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের নির্বাহী সদস্য উত্তম বিশ্বাস বলেন, সরকার পরিবর্তন হলে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়। ২০০১ সালের পর এবার সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দু বাড়িঘর ও মঠমন্দিরে হামলা হচ্ছে। তাই আজ সবাই রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তপন কান্তি দাশ বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মার খেতে খেতে আর কত মার খাব। স্বাধীন দেশে এভাবে চলতে পারে না। এত হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।