চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী, পরিকল্পনাকারী, অপরাধের সহযোগী ও অবৈধ অস্ত্রধারী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- চান্দগাঁও থানার মামলার আসামি মো. আনোয়ার হোসেন (৪১), মো. হারুনুর রশিদ (৪৮), কর্ণফুলী থানার মামলার আসামি শিকলবাহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিষ কুমার নাথ (৪৫), ডবলমুরিং থানার মামলার আসামি মো. নওশেদ আলম (৪৫), মো. মুন্না (২৮), ফয়েজ উল্লাহ ফয়সাল ওরফে কিং ফয়সল (২৫), বশির উদ্দিন সোহেল (৩২), আকবর শাহ থানার মামলার আসামি মো. মোস্তফা কামাল (৪২), মো. আকিব (৪৪), মো. আজিজ (৩৯), রিয়াজ সরকার (২৩), পতেঙ্গা থানার মামলার আসামি মো. আরিফুল ইসলাম (৩০), বাকলিয়া থানার মামলার আসামি আব্দুল জব্বার খন্দকার (৫৮), তৌহিদুল ইসলাম ওরফে রতি ওরফে লতি (২৫), আবরার হোসেন শাহারিয়া ওরফে শাহরিয়া (২৪), মো. জাহেদুল ইসলাম ওরফে তামরাজ (২১), মো. জাহিদুল আলম ওরফে জাহিদ (২৬) এবং ওসমান (৪০)।
এছাড়াও রয়েছেন পাহাড়তলী থানার মামলার আসামি ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড খ-ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান চৌধুরী (৪৫), চকবাজার থানার মামলার আসামি রাব্বি (২১), ইপিজেড থানার মামলার আসামি ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ (৪৮), মোসলেম উদ্দিন (৩৫), বন্দর থানার মামলার আসামি মো. নাজিম উদ্দিন (৪৫), কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি মো. আকাশ (২০), মো. করিম উদ্দিন (৩৬), হালিশহর থানার মামলার আসামি মো. ইসরাফিল (১৯), বিকাশ চাকমা (৩৮), পাঁচলাইশ থানার মামলার আসামি মো. ফরহাদ (৩৩), বায়েজিদ বোস্তামী থানার মামলার আসামি মো. জাহাঙ্গীর (৩৪) এবং খুলশী থানার মামলার আসামি মো. রিপন (৪০)।