রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে কাজের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ‘সহৃদয়’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির নেতৃত্বে এসেছেন জহির রায়হান ও মো. ইসমাইল হোসেন।রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সংগঠনটির উপদেষ্টাবৃন্দ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জহির রায়হান ও মো. ইসলামইল হোসেন যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এবং বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।সহ-সভাপতির পদে আছেন মোছাব্বির হোসেন সাগর, মো. মাহিন আহমেদ, মো. মেহেদী হাসান, সালমান ইমতিয়াজ সাকিব, মো. তারেক হোসাইন, মো. জিহাদ মন্ডল, হোসাইন আহমেদ অনিক ও মেজবাউল ইসলাম মেজবা। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান, শাহনেওয়াজ সিয়াম, সোহেবুল হাসান তুরিন, মোরসালিন ইসলাম, রবিউল ইসলাম সুমন ও শেখ সাদ অর্ণব।সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মো. ফারহান ফারুকি। পাশাপাশি, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন মো. নাসিম আল নিসাত, শাকিল রানা, মো. মেহেদী হাসান, সাজ্জাদ হোসেন সায়মন, আব্দুল হাকিম মন্ডল। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন তাকিন আহমেদ ও রুহুল আমিন। প্রচার সম্পাদক হিসেবে আতিকুর রহমান এবং দপ্তর সম্পাদক পদে মেরাজ আলম মনোনীত হয়েছেন। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন শামীম জাহান হিরন, ফাহিম চৌধুরী ও নাহিদ হাসান।এ ছাড়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০-এর অধিক শিক্ষার্থী।সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতারা জানান, সহৃদয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক শিক্ষার্থী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো মানেই সমাজের পাশে দাঁড়ানো, আর সমাজের পাশে দাঁড়ানো মানেই আগামীর বাংলাদেশকে গড়ে তোলা—এই বিশ্বাস নিয়েই সংগঠনটির গোড়াপত্তন বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।প্রতিষ্ঠাতারা আরও জানান, সহৃদয়ের মূল লক্ষ্য হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইতিবাচক, শিক্ষার্থী-বান্ধব ও কল্যাণমুখী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। এর ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন, নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন এবং মানবিক মূল্যবোধকে জীবনে ধারণ করার প্রেরণা জোগানো সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।সংগঠনটির কার্যক্রমের মধ্যে বহুমুখী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, সাহিত্য আসর, ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন, ক্যাম্পাসের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ, সমাজসেবামূলক কার্যক্রম এবং দুর্যোগকালে ত্রাণ ও সহায়তা কর্মকাণ্ডের মতো বিষয়াদিকে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা।সংগঠনটির সভাপতি জহির রায়হান এ বিষয়ে বলেন, আজ আমরা একটি নতুন সামাজিক উদ্যোগের সূচনা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, ছোট ছোট কাজই বড় পরিবর্তনের সূচনা আনে। এই সংগঠন কেবল একটি নাম নয়, এটি একটি দায়িত্ব।সাংগঠনিকভাবে সকলে মিলে মানবিকতার পথে এগিয়ে যাওয়ারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের স্বপ্ন হলো এমন এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্যজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ না থেকে সৃজনশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে এগিয়ে যাবে। সহৃদয়ের প্রতিষ্ঠাকে সেই যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন ইসমাইল।