1. info@aynatv.info : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@aynatv.info : admin :
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় বেরোবির শিক্ষক তৌফিকুল-ফেরদৌস, আছেন শিক্ষার্থী অভিজিৎও

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রুশাইদ আহমেদ, বেরোবি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডাচ একাডেমিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার কর্তৃক প্রণীত বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় টানা চতুর্থ বারের মতো স্থান পেয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম রিপন।

একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমানও ঠাঁই পেয়েছেন এই তালিকায়। পাশাপাশি, বেরোবির একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের জন্য বিরল।

প্রতিষ্ঠান দুটির প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ সালের পর ২০২৫ সালেও বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল। তাঁর কাজের মূল ক্ষেত্র ছিল ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান। পরিবেশবিজ্ঞান উপ-ক্ষেত্রে তাঁর র‍্যাঙ্কিং ২৮২। পাশাপাশি, উপ-ক্ষেত্রটির এইচ ইনডেক্সে ২৮তম এবং এইচএম ইনডেক্সে ১৪তম অবস্থানে রয়েছেন তিনি।

অপর দিকে, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে পদার্থবিজ্ঞান ও মহাকাশবিজ্ঞান মূল ক্ষেত্রে অবদানের জন্য একই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বেরোবি প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান। ফলিত পদার্থবিজ্ঞান উপ-ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান ৫৯৫। এ ছাড়া, উপ-ক্ষেত্রটির এইচ ইনডেক্সে তিনি ৩০তম এবং এইচএম ইনডেক্সে অষ্টম অবস্থানে রয়েছেন।

একইভাবে, ২০২৫ সালে পদার্থবিজ্ঞান ও মহাকাশবিজ্ঞান মূল ক্ষেত্রে কাজের জন্য একই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ফেরদৌস রহমানেরই নিজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষ। তিনি ফলিত পদার্থবিজ্ঞান উপ-ক্ষেত্রে ৪০৩২তম অবস্থানে আছেন। উপ-ক্ষেত্রটির এইচ ইনডেক্সে তিনি ১৭তম এবং এইচএম ইনডেক্সে তিনি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, এই তালিকায় আবারও স্থান পেয়ে আমি অনেক খুশি। টানা চারবার এই তালিকায় জায়গা পাওয়া আসলে আমার পরিশ্রমের সার্থকতা বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও এই তালিকায় থাকার বিষয়টি অনেক ভালো লাগার খবর। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও অনেক গবেষক তাদের কাজের মাধ্যমে এই তালিকায় স্থান পাবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে এই অর্জন আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের। আমি আশা করি এ ধরনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখতে পারব। তিনি যোগ করেন, আমার সহকর্মীদের পাশাপাশি এখন শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছেন এই ক্ষেত্রে এখন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে এটাই আমার বিশ্বাস।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, এ ধরনের সংবাদ সত্যিই আনন্দের। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে যে সব গবেষক এই ২% বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এভাবে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উভয়েই এ ক্ষেত্রে নিয়ামক হয়ে উঠবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এলসেভিয়ার যৌথভাবে প্রতি বছর বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকাটি বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও প্রকাশনার উদ্ধৃতির মান মূল্যায়ন করে তৈরি করা হয়। স্কোপাস ইনডেক্সড (গবেষণা) নিবন্ধকে ভিত্তি হিসেবে ধরে ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৬টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে পেশাগত এবং বাৎসরিক গবেষণা কর্ম—এই দুই ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪ লাখ গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় প্রতি বছর।

গবেষণা খাতে অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দসহ নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল, ড. ফেরদৌস রহমান ও অভিজিৎ ঘোষের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য গবেষকদের প্রেরণা জোগাবে বলে মনে করেন স্থানীয় গবেষকেরা। পাশাপাশি, এই খাতে আরও সরকারি বাজেট বরাদ্দের বিষয়েও তাদের কার্যক্রম সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2024